ইনস্টাগ্রামের বদৌলতে রূপচর্চা যাদের কাছে দারুণ অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, তারা অনেকেই নিশ্চয় খেয়াল করেছেন, এই ই-সোসাইটিতে বেড়েছে ডাবল ক্লিনজিংয়ের কদর। কোরিয়া ও জাপানে দীর্ঘকাল চর্চিত এই রুটিনে দুই ধরনের ক্লিনজার ব্যবহার করা হয়– সাধারণত একটি ওয়েল-বেসড ক্লিনজার, তারপর একটি ওয়াটার-বেসড ক্লিনজার, যেন ত্বক থেকে সকল ময়লা, মেকআপ কিংবা সানস্ক্রিন মুছে ফেলা যায়।
এই গভীর পরিশোধন যে একটি স্বাস্থ্যকর স্কিন কেয়ার রুটিনের ভিত্তি, তাতে কারও দ্বিমত নেই; তবে ক্লিনজিংয়ের মাত্রা বাড়াবাড়ি রকমের হলে তা হীতে বিপরীত ডেকে আনতে পারে।
ক্লিনজিং বাম কাজ করে যেভাবে
ক্লিনজিং বামগুলো সাধারণত ওয়েল-বেসড হয়ে থাকে; আর এগুলো এমনভাবেই তৈরি করা হয়, যেন ত্বকে ব্যবহারের পর তা মিলিয়ে বা মিশে যায়। ভারতীয় ডার্মাটলজিস্ট ডা. মৃণালিনী লখান্দে বলেন, ‘ক্লিনজিং বামগুলো সেবাম, মেকআপ ও সানস্ক্রিনসহ ওয়েল-বেসড ইমপিউরিটিগুলোকে ত্বক থেকে মুছে ফেলে।’
‘এ ক্ষেত্রে সেকেন্ড ক্লিনজের অবশ্যই ত্বককে এক্সফোলিয়েট, স্মুদেন, ব্রাইটেন কিংবা হাইড্রেট করার কাজে লাগা উচিত,’ বলে অভিমত ডার্মাটলজিস্ট ডা. গীতিকা মিত্তাল গুপ্তার। এই দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকই জানিয়েছেন, যারা হেভি মেকআপ ও সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন কিংবা দূষিত এলাকায় বসবাস যাদের, তাদের ক্ষেত্রে ডাবল ক্লিনজিং বেশ কাজের। তা ছাড়া যাদের ত্বক ব্রণপ্রবণ, ওয়েল-বেসড ক্লিনজার তাদের ত্বকে সেবাম প্রোডাকনের ভারসাম্য তৈরি এবং ত্বকছিদ্র বন্ধ হওয়া রোধে সাহায্য করে।
কিন্তু সাবধান
ডাবল ক্লিনজিং যদি এতই কাজের, তাহলে এ নিয়ে ঘাবড়ানোর কী কারণ? ডা. মিত্তাল গুপ্তার মতে, আপনার ত্বক যদি শুষ্ক কিংবা অতি সংবেদনশীল হয়, কিংবা আপনি যদি হেভি মেকআপ ইউজার না হয়ে থাকেন, তাহলে সাবধান! ‘ওভার-ওয়াশিংয়ের কারণে আপনার ত্বকে শুষ্কতা ও জ্বালাপোড়া তৈরি হতে পারে, এমনকি তা ডেকে আনতে পারে ব্রেকআউট কিংবা একজিমার মতো বালাই। আপনি যদি মেকআপ-ফ্রি থাকতে অভ্যস্ত হোন, সে ক্ষেত্রে আপনার রুটিনে ডাবল ক্লিনজিং না রাখাই ভালো,’ বলেছেন ডার্মাটলজিস্ট ডা. জুসিয়া ভাটিয়া সারিন।
এ ছাড়া, ক্লিনজিং প্রোডাক্টে ব্যবহৃত উপাদানগুলোও ভালো করে পরখ করার পরামর্শ এই বিশেষজ্ঞের।
- ক্যানভাস অনলাইন ডেস্ক
সূত্র: ভোগ ইন্ডিয়া